গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইতিহাস গড়লেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিজয়ের পর ঐক্যবদ্ধ ফ্রান্স গড়ার ডাক দিয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন বিরোধী প্রার্থী লা পেন।
ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে ভোটের ফল আসতে শুরু করলে উল্লাসে ফেটে পড়েন ম্যাক্রোঁ সমর্থকরা। ফরাসি জাতীয় সঙ্গীতের সাথে ফ্রান্স এবং ইইউ পতাকা উড়িয়ে মিশে যায় ম্যাক্রোঁ প্রেসিডেন্ট ধ্বনি।
ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডে রোববার শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই নেতার ভাগ্যনির্ধারণী চূড়ান্ত পর্বের ভোট গ্রহণ। এতে ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ম্যাক্রোঁ। বিপরীতে মেরিন লা পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। প্রথম দফায় ম্যাক্রোঁ পান ২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটের চেয়ে এবারের ভোটে দুই প্রার্থীর ব্যবধান অনেক কম।
দুই মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাওয়া ম্যাক্রোঁ বিজয়ী ভাষণে বিরোধী শিবিরকে রুখে দেয়ার জন্য সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়ে, আরো শক্তিশালী ফ্রান্স গড়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।
ম্যাক্রোঁ বলেন, 'আপনাদেরকে ধন্যবাদ। আমি এখন আর কোনো একক দলের প্রার্থী নই। আমি এখন সবার প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়ে ভোটের ফলাফলকে বিজয় বলে অভিহিত করেছেন বিরোধী প্রার্থী লা পেন। জুনে আইনসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির কথাও বলেছেন'।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের ফলে যেটুকু ভোট পেয়েছি তা দলের জন্য বিজয়। জনগণকে ‘কখনো ছেড়ে যাবো না। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে'।
মধ্যপন্থী ম্যাক্রোঁর জয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে গোটা ইউরোপ। ব্রেক্সিট ইস্যুতে কট্টর দক্ষিণপন্থী ছিল বড় সংঙ্কার এই জয়ে ম্যাক্রোঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
news24bd.tv/রিমু