সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বেশ আলোচিত ইভিএম

ইভিএম।  সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বেশ আলোচিত এই ভোটিং মেশিন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যমান লোকবল দিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনে এক- তৃতীয়াংশ আসনে ভোটগ্রহণ সম্ভব। কোন সার্ভারের সাথে এটি যুক্ত করা যায় না, তাই বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। নিউজ টোয়েন্টি ফোরের সাথে কথা বলেছেন ইভিএম প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

একটি মডেল ভোটকেন্দ্র তৈরী করেছেন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পুরো প্রক্রিয়াটিই ইন্টার্নেট মুক্ত।  এমন কি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানেও নিরবিচ্ছিন্নভাবে ২০ ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে চলার ক্ষমতা রাখে এই ইউনিটটি।  নির্দিষ্ট কেন্দ্রের নির্দেশিত কক্ষে স্থাপনের পর, শুধুমাত্র ওই ভোটকক্ষের ভোটারদের তথ্য কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয়।       

মেশিনে সংরক্ষিত তথ্যের বাইরের ভোটার এখানে ভোট দিতে পারবে না বলছিলেন ই ভি এম প্রকল্পের পরিচালক।  কারও স্মার্ট কার্ড বা ভোটার নাম্বার দিয়ে দেয়া যাবেনা ভোট।  আটকে দেবে আঙুলের ছাপ।

সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে অভিযোগ এসেছে, যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে সেসব স্থানে ভোট গ্রহণের হার তুলনামূলক কম।  

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল কামালউদ্দিন বলেন, ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করলে অনেক সময়ই একজন ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারেন।  ইভিএমে সেই সুযোগ নেই।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের পর, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটিতে পুরো ভোটগ্রহণই ইভিএমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।  কমিশন মনে করে, মক ভোটিং কার্যক্রম জোরদার করলে সাফল্য আসে বেশি।  আগামী জাতীয় নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট করার প্রস্তুতির কথা জানান ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক।

আরও পড়ুন:

শীতে বেড়েছে খুশকি, দূর করতে যা করবেন

যে ৪ ভুলে অজান্তেই ছেলেদের চুল পড়ে!

ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হলে, সরঞ্জামের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় অনেক জনবলের প্রয়োজন হয়।  সময় বেশি লাগে ভোট গণনাতেও। তবে কারিগরি দলের দাবি, এইসব ধকল থেকে অনেকটা মুক্ত ইভিএম।

news24bd.tv রিমু