খেজুর রস থেকে সুস্বাদু গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের গাছিরা। ভোরের সূর্য ওঠার আগে রস ভর্তি মাটির ভাঁড় গাছ থেকে নামান তারা; পরে টিনের বড় তাওয়ায় জ্বাল দিয়ে পাটালি গুড় তৈরি করা হয়।
এখানকার গুড়ের মান ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন জেলায়।
শীতের শুরু থেকেই রস সংগ্রহ, খেজুর রসের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের গাছিরা।
ভোর থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তারা।
পরে মাটির হাঁড়িতে কিংবা টিনের বড় তাওয়ায় জ্বাল দিয়ে পাটালি গুড় তৈরি করা হচ্ছে।
গাছিরা জানান, একেকটা খেজুর গাছ থেকে প্রায় এক মন রস হয়। গুড় উৎপাদন হয় ১৫ থেকে ২০ কেজি। বাজার দর থাকায় লাভও হয়।
আর নির্ভেজাল ও মানসম্মত গুড় কিনে খুশি ক্রেতারা।
সংশ্লিস্টরা বলছেন, খেজুর রস ও গুড়ের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে বেশি করে খেজুরগাছ রোপন ও রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
কুড়িগ্রামে খেজুর গাছ রোপনে গাছি ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ‘কৃষি প্রণোদনা’ চালুর দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:
তাড়াশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পেল বসুন্ধরার কম্বল
news24bd.tv/তৌহিদ