বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশের শততম বর্ষ আজ

কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশের শততম বর্ষ আজ বৃহস্পতিবার। যে কবিতা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অনুপ্রেরণা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দর্শন, মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাল এবং একাত্তরের হাতিয়ার। বাঙালির জয় হোক বলে যে মুক্তির কথা কবি নজরুল লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু সেই সাধকেই পরিপূর্ণতা দিয়েছেন। আর তাই বিদ্রোহীর স্রষ্টার, সৃষ্টির মূল্যায়নের দায়িত্ব এ সমাজকেই নিতে হবে, বলছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।  

ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী জনমানস ও স্বাধীনতার প্রবল আকাঙ্ক্ষা দানা বাঁধতে শুরু করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই। তখন ১৯২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকের এক রাতে রক্তে আলোড়ন তোলা 'বিদ্রোহী' কবিতা লেখেন ২২ বছরের এক তরুণ।

বিজলী পত্রিকায় কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছান কবি কাজী নাজরুল ইসলাম। আর তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে বাঙালিদের বহু আন্দোলন-সংগ্রামের, অনুপ্রেরণার মূর্ত প্রতীক।

কবি নজরুলকে সাহিত্যে সম্মানের সুউচ্চ শিখরে পথ করে উঠতে হয়নি, পথ তাঁকে হাত ধরে ঊর্ধ্বে তুলেছে। সে ঝড়ের মাতম তুলে বিদ্রোহীকে গড়েছিলেন বিজয়ীর বেশে।

আরও পড়ুন:

 

স্বামীর বিরুদ্ধে স্কুলশিক্ষিকার শরীরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ 

বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, বিদ্রোহী কবির অগ্নিঝরা কবিতা ও গান প্রেরণা দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের, আর কবির দর্শন শক্তি জুগিয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। তাইতো ‘বাঙালির জয় হোক’ বলে যে মুক্তির কথা কবি কাজী নজরুল লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু সেই সাধকেই পরিপূর্ণতা দিয়েছেন জয়বাংলা।

কেবল কবিতা নয়, সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর সৃষ্টির হাতিয়ার ‘বিদ্রেহী’ কবিতা। পরবর্তী সকল আন্দোলন ও সংগ্রামেও এই কবিতা ছিল অনুপ্রেরণা। আজও প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান ভাষা বিদ্রোহী কবির বল বীর উচ্চারণ।

news24bd.tv রিমু