উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিপূর্ণ নজরদারির অভাবে এখন পর্যন্ত সড়কে বন্ধ করা যায়নি এই সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ যান।
দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি গণপরিবহন রিকশা। তিন চাকার এই পরিবহন কেউ ঘুরতে কেউবা নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছেন। তবে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতেই এই বাহনে যুক্ত হয়েছে ব্যাটারি চালিত ইঞ্জিন।
কিন্তু পরিপূর্ণ ব্রেক না থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায়ই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। যার প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন উচ্চ আদালত।
নিষেধাজ্ঞার চার বছরেও বন্ধ করা যায়নি ব্যাটারি চালিত রিক্সার চলাচল। সড়ক-মহাসড়ক এবং অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত এ যান। ফলে হর-হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ হারাচ্ছেন নিজের প্রাণ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী বছর নির্বাচন কমিশন আইন করা হতে পারে: হানিফ
ঘরে ঢুকে গৃহবধূ্কে কুপিয়ে হত্যা
চাকরি দেবে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস্ ব্লেন্ডার্স
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিপূর্ণ নজরদারির অভাব এই এত বছরেও সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করতে পারেনি সরকার।
তবে পুলিশের দাবি, নিয়মিত অভিযানে অনেকটাই কমে এসেছে ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যবহার। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারেরও বেশি ব্যাটারি চালিত রিকশা ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
অচিরেই এই অনিয়ন্ত্রিত এবং নিষিদ্ধ যানবাহন বন্ধ করা না গেলে উন্নত দেশে উন্নিত হওয়ার যে ইচ্ছা তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
news24bd.tv/ নাজিম