স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিশ্বের বুকে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিশ্বের বুকে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছে বাংলাদেশ। উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি; দারিদ্র্য মোচন কিংবা মাথাপিছু আয় অর্থনীতির এমন নানা খাতে সাফল্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করলেও এখনো আয় বৈষম্য প্রকট! তাই বিশ্লেষকরা মনে করেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই আগামীর বড় চ্যালেঞ্জ।  

অঘ্রানের নরম রোদের আলো যখন সিমের ডগা ছুঁয়ে যায়; তখন প্রাণ খুঁজে পায় নির্মল এ প্রকৃতি। আড়মোড়া ভেঙে সোনালী ফসলের মাঠে ব্যস্ততা বাড়ে কৃষক ও কৃষাণীর। যেখানে নতুন একটি সকাল হাতছানি দেয় নতুন স্বপ্ন নিয়ে। যে স্বপ্নের বীজ রোপিত হয়েছিল ৫ দশক আগে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে।

নির্মল প্রকৃতিজুড়ে সূর্যের নরম রোদ গায়ে এসে লাগলেও ঢাকার অদূরের কৃষক দম্পতি আতাউল ও সাজেদা বেগমের মনের কোণে তখনো মেঘ জমে থাকে। বিজয়ের ৫০ বছরে নিজের বয়স ৫০ হলেও এক টুকরো নিজস্ব জমি নেই এই দম্পতির। অন্যের জমিতে ফলন করে খেয়ে পড়ে দিন হয়তো কাটছে কিন্তু তাতে ভাগ্য উন্নয়ন হয়নি খুব একটা।

কৃষক দম্পতি জানান, কৃষি কাজ করে দিনে দু'বেলাও ঠিকমত খেতে পারছেন না। কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের।  

তবে গেল এক দশকে গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে গতি সঞ্চার হয়েছে তাতে কৃষির অবদান অনন্য। মহামারি করোনাকালেও টিকে থাকার বড় নির্ভরতা ছিল এই খাত। সময়ের সাথে কৃষিতে বাড়ছে মূল্য সংযোজন। তাইতো চাল, মাছ কিংবা সবজি উৎপাদনে নিয়মিত রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ।  

কৃষিকাজ করে কল্পনা রানীর মতো গরীব কৃষাণী যাদের দু'বেলা খাবার জুটতো না তারা এখন পেট ভরে খেতে পারছেন; আর তাতেই স্বস্তি খোঁজা।

আরও পড়ুন:

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আইভী

প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল এক নারীর 

হিসাব বলছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দিয়ে  যাত্রা শুরু করলেও গেল এক দশকে অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে পৌনে ৭ শতাংশ। বিজয়ের পর মাত্র ৯৮ ডলারের মাছাপিছু আয়ও পৌঁছেছে আড়াই হাজার ডলারের ওপর। যদিও এ আয়ের বন্টনে এখনো বড় অসমতা। তাই তো বিপুল সংখ্যক মানুষ রয়ে গেছে নিম্ন আয়ের কাতারে। গরিব মানুষের হার কমলেও করোনার আগ পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান তা জানান দেয় এদেশে আয় বৈষম্য এখনো প্রকট।

বিশ্লেষকদের মতে, বিজয়ের ৫ দশকেও এখনো দক্ষ জনসম্পদ ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় ঘাটতি রয়ে গেছে।

news24bd.tv রিমু