কৃষি খাতে দেশের বিস্ময়কর উন্নতি

স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে দেশের কৃষি খাতে। গেল ৫০ বছরে ১০৬টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা। যার ফলে দেশের লবণাক্ত, বন্যাপ্রবণ আর খরা অঞ্চলেও এখন ধান চাষ করতে পারছেন কৃষকরা। ধান ও সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে।  

সংকট থেকে সমাধান। সমাধান থেকে অর্জন। ৫০ বছরে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় । অথচ স্বাধীনতার পর  দেশের খাদ্য সরবরাহ খাত হয়ে পড়েছিলো অনেককাংশে অনুদান নিভর। সময়ের পরিক্রমায় ধানের ১৮ হাজার জাত কমে সীমাবদ্ধ হয় গুটি কয়েকে। পাঁচ দশক পর, ধানের মাঠে এমন সোনার ফলনে বদলে গেছে চিত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ কোটি ২৬ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। সেই উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশই পূরণ করছে ব্রি ধান ২৮ ও ২৯।  বর্তমানে, প্রতি বছর ধানের উৎপাদন শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই হারে বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালে দেশে ধানের উৎপাদন ৪৭ দশমিক দুই মিলিয়ন টনে পৌঁছতে পারে।

কৃষি বিশ্লেষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের যে উন্নতমানের জাত রয়েছে এগুলোর উন্নয়ন করা সম্ভব। আমরা যেখানে ফসল ফলাচ্ছি বা আবাদ করছি সেখানে ভিন্ন কিছু আবাদ করা যাবে না কারণ তার একটা আইন রয়েছে বলেও জানান তিনি।  

আরও পড়ুন:

৫০ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি বীরাঙ্গনা মনোয়ারার 

তিন দিনের সফরে ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রপতি

২০৫০ সালে বাংলাদেশকে আনুমানিক ২১ কোটি ৫৪ লাখ মানুষের খাবারের যোগান দিতে হবে।  ২০৪০ সালের মধ্যে জন প্রতি বছরে ১৩৩ কেজি চালের প্রয়োজন হবে। যার ফলে, উচ্চফলনশীল জাত আবিস্কারে আরো অগ্রগতি প্রয়োজন বলে মত কৃষি বিশ্লেষক ড. জাহাঙ্গীর আলমের।

ধানের পাশাপাশি, দেশে এখন ৬০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। বছরে যার পরিমান ১ কোটি ৬০ লাখ টন। চীন ভারতের পরই সবজি উৎপাদনে এখন বাংলাদেশের অবস্থান। তবে বিশেষজ্ঞরা, সবজির হাইব্রিড জাত চাষাবাদে নিরৎসাহিত করেছেন।

news24bd.tv রিমু