অপরাধের অভয়ারণ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রায়ই ঘটছে অপহরণের ঘটনা। পুলিশের তথ্য বলছে ৫ বছরে অপহরণ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ৩৪টি।  

এছাড়া ডাকাতি ১০টি, ধর্ষণ ৬৫টি, ২৮টি মানব পাচার এবং অন্যান্য আইনে ৮৯টি মামলা হয়েছে। যার সব গুলোর সাথেই রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অপতৎপরতা রুখতে কাজ করছেন তারা।  

টেকনাফ নিবাসী ফজলুর রহমান। একটি কোম্পানির ডিলারশিপ ছিল তার। ৭ মাস আগে টাকা তুলতে টেকনাফ থেকে উখিয়া নীলা বাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি।  

পথে ৭-৮ জন তাকে আটকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় পাশের একটি পাহাড়। অভুক্ত অবস্থায় ৪ দিন তার উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। ভেঙে দেয়া হয় দুই পা। তিন লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি মিললেও এখন ব্যবসা ও অর্থ সম্পদ হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব।

ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা ও ক্যাম্প স্থানীয় বাঙালিদের অনেকেই এমন ঘটনার শিকার। প্রতিদিন জীবন হারানোর ভয়ে থাকতে হয় তাদের। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতেও ভয় পান কেউ কেউ।

উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কর্তারা বলেন, অল্প জায়গায় কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ায় দিন দিন বাড়ছে অপরাধ।

আরও পড়ুন:

আমাদের টিকার অভাব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডকে মেরে তক্তা বানাতে চেয়েছিল ভারত: শোয়েব

প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু সম্মেলনে যাওয়া স্ববিরোধী: রিজভী

ভারতের সেমিফাইনালে ওঠা হবে অলৌকিক: আফ্রিদি

পুলিশের তথ্য বলছে, গেলো ৫ বছরে এ এলাকায় ৩৪ টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। আর ডাকাতি হয়েছে ১০টি। ধর্ষণ ৬৫ টি, ২৮টি মানব পাচার এবং অন্যান্য আইনে ৮৯টি মামলা হয়েছে। তবে এমন ঘটনা শুনলেই অভিযান চালিয়ে ভুক্তভুগীদের উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক বলছে, যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই অপরাধী চক্র ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তাই এখনই লাগাম টেনে না ধরলে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।

news24bd.tv নাজিম