কোন ধরণের নিয়ম-কানুনই মানছে না বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। ৩২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেদারছে ব্যবসা করছে তারা। এমনকি স্থানীয় বাজারও এখন তাদের দখলে।
এনজিওগুলোর দেয়া ত্রাণের পণ্য নামমাত্র মূল্যে এসব বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত। এসব অনিয়মের জন্য কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
টেকনাফ সদর এলাকায় ভ্যানে করে মৌসুমী ফল বিক্রি করেন নাসির শেখ। প্রায় ৬০ বছর ছুঁই ছুঁই করা এই ব্যক্তি ৮ জনের সংসার চালান এই ফল বিক্রি করেই। তবে ব্যবসা এখন মন্দ। পরিবারের এক বেলা খাবার জুটানোই কঠিন হয়ে গেছে। কারণ একটাই রোহিঙ্গা।
টেকনাফের ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার জাদিমুরা বাজারের দৃশ্য এটি। এখানকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারের অধিকাংশ দোকানের মালিক এখন রোহিঙ্গারা। অবৈধ উপায়ে ট্রেড লাইসেন্সও নিয়েছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবেন না তামিম! অবিবাহিত পরিচয়ে বিয়ে, প্রতারণার অভিযোগে নারীকে কারাদণ্ড ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবনএসব বাজারে নাম মাত্র মূল্যে মিলছে রোহিঙ্গাদের ত্রাণে পাওয়া নিত্য পণ্য। ফলে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন ও সুশাসনের জন্য নাগরিক বলছে, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে এসে ব্যবসা করার কথা নয় এজন্য প্রশাসনের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করেন তারা।
এইচ এম নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন তবে এবিষয়ে কিছুই জানেন না জেলা প্রশাসক। আর অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলছেন, প্রায়ই উচ্ছেদ করেও রোহিঙ্গাদের ব্যবসা বন্ধ করতে পারছেন না তারা।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সৃষ্ট সমস্যা থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে কঠোর নজরদারির পরামর্শ স্থানীয় নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর।
news24bd.tv/ কামরুল