সহজেই মাছের সঙ্গে পরিচিতি, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় সব স্বাদু পানির মাছ ও সামুদ্রিক মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণি সংরক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘অ্যাকুয়াটিক বায়োডায়ভার্সিটি মিউজিয়াম’।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, মিউজিয়ামটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও দর্শনার্থীরা খুব সহজেই সহজেই বিচিত্র সব মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এ ধরণের কোনো মিউজিয়াম নেই । মাছ সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন, ইথানল, রেজিনসহ কয়েকটি রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ফরমালিন কম মূল্যের হলেও ইথানল ও রেজিনে মাছের নমুনা সংরক্ষণ করা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। এমন মিউজিয়াম পেয়ে খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী
পূজা বৈদ্য, সহকারী অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ ও ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে একশয়ের বেশির দেখা মেলে না। দেশীয় বহু প্রজাতির মাছ এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে। আর অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।
প্রায় ১০ শতাংশ মাছ প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে। মিউজিয়ামে সংগৃহীত নমুনা মাছের তথ্য হতে মাছের বিলুপ্তিরোধে সচেতনতা তৈরি এবং পূর্বে বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজাতির পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:
ইভ্যালিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: বিচারপতি মানিক
করোনা: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজছাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে করলো তরুণী!
ডিএমপি কমিশনার ও র্যাব ডিজি’র পদোন্নতি
মিউজিয়ামটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও দর্শনার্থীরা খুব সহজেই সহজেই বিচিত্র সব মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
অ্যাকুয়াটিক বায়োডায়ভার্সিটি মিউজিয়ামে বর্তমানে স্বাদু পানি ও সামুদ্রিক পানির মোট ২৫০ প্রজাতির মাছ সংরক্ষিত রয়েছে এবং মাছের অন্যান্য প্রজাতি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।
news24bd.tv/ কামরুল