ই-অরেঞ্জের মালিক ও বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক, সোহেল রানার অঢেল সম্পদের তথ্য এখন বিভিন্ন সংস্থার কাছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে গড়েছেন সাম্রাজ্য।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব বলছেন, মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেবে দুদক। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মনে করেন, নৈতিকতার ঘাটতি ও অর্থের মোহে এমন কর্মকাণ্ড।
আলোচনায় এখন ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হয়ে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতকারী পুলিশের বরখাস্ত পরিদর্শক সোহেল রানা। ভারতে আটকের পর বর্তমানে রয়েছেন রিমান্ডে। তার বোন সোনিয়া মেহেজাবিন ও ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে। মামলার আসামি বাকী দুইজন পলাতক।
দেশে বিদেশে সোহেল রানা গড়েছেন অঢেল সম্পদ। নামে-বেনামে থাকা তার সম্পদের মধ্যে ঢাকার অভিজাত এলাকায় ৫ ফ্ল্যাট, ৯ কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্যিক ভবনে জায়গা, ২টি প্লট ও ৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য মিলেছে। আরো চার দেশেও রয়েছে তার সম্পদ। থাইল্যান্ডের পাতায়ায় সুপারশপ, জমি ও ফ্ল্যাট, পর্তুগালের লিজবনে সুপারশপ, বার ও রেস্তোরাঁ, ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বার এবং নেপালের কাঠমান্ডুতে বার ও ক্যাসিনো রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, ই-অরেঞ্জ ও অভিযুক্তদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন প্রতিমন্ত্রী
ইউলুপ এখন ‘যানজটের প্রধান কারণ’
কী সারপ্রাইজ দেবেন মাহি!
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মনে করেন, তদারকি কর্মকর্তাদের শৈথিল্যের কারণে এই পুলিশ কর্মকর্তা এত কিছু করতে পেরেছে।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ পুলিশের সাবেক এই প্রধানের।
news24bd.tv নাজিম