চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে রপ্তানি হচ্ছে ওমাসম বা গরু-মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি। চট্টগ্রামের একদল তরুন উদ্যোক্তা ওমাসম বিক্রি করেই এখন আয় করছে কোটি কোটি টাকা। কারণ এক টন ওমাসম বিশ্ববাজারে বিক্রি হয় আট হাজার ডলারে। একই সাথে গরুর পিজল যাচ্ছে আমেরিকাসহ চীনে, যা ককুরের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। প্রতি টন পিজল বিক্রি হয় আট থেকে সাড়ে আট হাজার ডলারে। আর গরুর হাড় ও শিং দিয়েই তৈরি হচ্ছে বোতামসহ বিভিন্ন ধরনের শোপিস।
গরুর তৃতীয় পাকস্থলীর স্থানীয় নাম সাতপাল্লা। যা চীনসহ বিশ্ববাজারে ওমাসম নামে পরিচিত। গরু জবাইয়ের পর এক সময় নদী খালে ফেলে দেওয়া হতো এসব উচ্ছিষ্ট। যা পরিবেশও দূষণ করতো। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব পণ্যের কদর রয়েছে জেনে এখন নিয়মিত রপ্তানি করছেন চট্টগ্রামের তরুন উদ্যোক্তারা।
এক টন ওমাসম রপ্তানিতে আয় হয় আট হাজার ডলার । গরুর পেনিস বা পিজলের চাহিদাও বেড়েছে আমেরিকা, চীনসহ আরো কয়েকটি দেশে। প্রক্রিয়াজাত প্রতি টন পেনিস বিশ্ববাজারে বিক্রি হচ্ছে আট থেকে সাড়ে আট হাজার ডলারে।
এদিকে গরুর হাড় শিং দিয়েই দেশে তৈরি হচ্ছে বোতামসহ নানা ধরনের শোপিস। এসব পণ্য রপ্তানি হওয়ার পাশাপাশি হাড় শিংও যাচ্ছে বিদেশে।
করোনা সংকটেও গেল অর্থবছরে ৩২০ কোটি টাকার ওমাসম রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
বিভিন্ন জেলায় করোনা ও উপসর্গে মৃত্যুর তথ্য
গার্মেন্টস খোলার ব্যাপারে যা জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
কখন লকডাউন বাড়ানো লাগবে না জানালেন তথ্যমন্ত্রী
ময়মনসিংহ মেডিকেলে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড
news24bd.tv তৌহিদ