সারাদিন বৃষ্টি আর স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় মাঝে মাঝেই সমস্য দেখা দেয় বাচ্চাদের। এর মধ্যে বাচ্চার শরীরে র্যাশ অন্যতম। ত্বকের র্যাশকে ডার্মাটাইটিস বা ত্বকে ইরিটেশন বলা হয়। আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব, ভাইরাল ইনফেকশন, ফুড অ্যালার্জির কারণে ত্বকে র্যাশ হতে পারে। জেনে নিন এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার।
র্যাশ ওঠার কারণঃ বর্ষায় ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অ্যালার্জির উপকরণ থেকে বাচ্চারা আক্রান্ত হয়। ঠাণ্ডা গরমের ওঠানামায় আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এমনটা হয়।
লক্ষণ: ত্বকের কোন কোন জায়গা লাল হয়ে যায়, চুলকায় এমনকি ফুলেও যেতে পারে। র্যাশের সঙ্গে ফুসকুড়িও হয়। তবে র্যাশের সঙ্গে জ্বর দেখা দিলে সেটা গুরুতর।
প্রতিকারঃ
• র্যাশ হলে ত্বক ভেজা রাখা যাবে না। ত্বক ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার ও গরমের সময় ল্যাক্টোক্যালামাইন ব্যবহার করতে পারেন।
• বাচ্চাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরিষ্কার সুতির জামা-কাপড় পরাবেন। সিনথেটিক কিংবা আঁটসাঁট পোশাক পরানো থেকে বিরত থাকুন।
• বৃষ্টিতে ভিজলেই কাপড় বদলে দিতে হবে। সাথে সাথে সাধারণ পানি দিয়ে শরীর মুছে নিতে হবে। কোনভাবেই কাপড়ে যেন ভিজে ভাব না থাকে।
• অ্যান্টিসেপটিক না দিয়ে বরং সাধারণ সাবান দিয়ে গোসল করাবেন। র্যাশ হলে সব ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
• বাচ্চার নখ নিয়মিত কেটে, নখ পরিষ্কার রাখুন। নখে ময়লা জমতে দেবেন না। কারণ নখ দিয়ে চুলকালে র্যাশ বাড়ে।
* পায়ে র্যাশ হলে বন্ধ জুতা না পরিয়ে খোলা স্যান্ডেল পরান। খালি পায়ে মাটিতে নামাবেন না।
• ঘরের বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, কাঁথা, লেপ, তোষক ইত্যাদি শুকনো ও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে একদিন রোদে দিন। কারণ রোদে এগুলোতে থাকা ধুলাবালির জীবাণু মরে যায়।
সতর্কতাঃ
বাচ্চাকে খুব বেশি গরম পানিতে গোসল করানো যাবেনা। স্বাভাবিক তাপমাত্রা পানিতে বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে। আর ঠান্ডা লাগলে কুসুম গরম পানি দিতে পারেন। র্যাশের ধরন যেমন আলাদা চিকিৎসাও আলাদা হবে। র্যাশ দীর্ঘদিন থাকলে এবং জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন
এবার চট্টগ্রাম ও সিলেটে করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি
জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ হতে পারে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে যে সময়
ফ্রান্সে সাইবার বুলিং এ ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানাকাউকে সাহায্য করার চেয়ে তাকে সহযোগিতা করায় অধিক মহত্ব
news24bd.tv/এমিজান্নাত