করোনাভাইরাসের এই সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে খুব বেশি সচেতনতা বাড়ার সাথে যে রোগটি বাড়ছে তা হলো অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার বা ওসিডি।
কিভাবে বুঝবেন আপনি ওসিডিতে আক্রান্ত:
ওসিডিতে অবসেশন ও কম্পালশন দুটি বিষয় থাকে। অবসেশন ও কম্পালশন এই দুটি বিষয় জেনে নেই।
অবসেশন: - আপনার যদি একই চিন্তা বা ছবি বা কল্পনা বার বার আসে, যা অযৌক্তিক ও খুবই অস্বস্তিকর। - আপনি যদি মন থেকে সরাতে না পারেন। -আপনি যদি জানেন এই চিন্তাগুলো নিজের মন থেকে আসছে। এই লক্ষণগুলি থাকলে আপনি অবসেশনে আক্রান্ত।
'মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট আওয়ামী লীগ ছিনতাই করতে চায়'
বরিশালে যুবদলের সভায় হাতাহাতি ভাঙচুর
অপূর্ণতায় মানুষের মেরুদণ্ডটা নুয়ে পড়ে, ভেঙে যায় না
কম্পালশন:
- আপনি যদি এই চিন্তা বা ছবি বা কল্পনা থেকে মুক্তি পেতে একই কাজ ( বার বার হাত ধোয়া, চেক করা, সূরা পড়া, তওবা পড়া,) বার বার করেন। - এই কাজগুলি না করে থাকতে পারেন না। এই লক্ষণগুলি থাকলে আপনি কম্পালশনে আক্রান্ত। এই লক্ষণগুলির কারণে আপনার ব্যক্তিগত, পেশাগত বা পারিবারিক জীবন ব্যহত হলে আপনি ওসিডি নামক জটিল রোগে আক্রান্ত।
চিকিৎসা: বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার মাধ্যমে ওসিডি পুরাপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব। সাধারণত রোগের পরিমান অনেক বেশি হলে মেডিসিন প্রয়োজন হয়। এসব রুগীর রোগের মাত্রা কমিয়ে মনোবিজ্ঞানীক চিকিৎসা বা সাইকোথেরাপি শুরু করতে হয়। তবে মাত্রা কম হলে শুধুমাত্র সাইকোথেরাপি দিয়েই চিকিৎসা করা যায়। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে দেরি না করে দ্রুত বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা নিন।
লেখক-মো. জিয়ানুর কবির, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট, বি-এস.সি (অনার্স) সাইকোলজি পিজিটি (সাইকোথেরাপি), এম.এস ও এম.ফিল (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি)।
news24bd.tv নাজিম