সর্দি-কাশি যাতে তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। তার জন্য ৪ মাসের শিশুর পেটে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ঘটে মারাত্মক বিপদ। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটি এখন ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। ভারতের রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামাখেদা গ্রামের ওই শিশুকন্যার পেটে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দেওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুই দিন আগেই তাকে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। তাকে নেওয়া হয় মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক পুলিশকে সব জানায়।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুকন্যার পেটে লোহার গরম রড দেওয়ায় মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিশুকন্যাটি নিউমোনিয়া এবং হৃদরোগে আক্রান্ত।
জানা গেছে, সর্দি-কাশি হলে ভিলওয়ারাতে লোহার রড গরম করে সেঁকা দেওয়ার পদ্ধতি খুবই পুরনো। চিকিৎসকদের কাছে না এসে ওই গ্রামের লোকেরা এভাবেই রোগ নিরাময় করে। বর্তমানে ওই শিশুকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিশু সুরক্ষা কমিটি পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শিশু সুরক্ষা কমিটি জানায়, ভিলওয়ারাতে এমন ঘটনা প্রথম নয়। এটা কুসংস্কার। এর আগেও এ ধরনের কাজে বহু সদ্যোজাত মারা গেছে।
তারা আরও জানায়, গত বছরের মার্চেই একটি ১০ মাসের শিশুর গায়ে গরম লোহার রড ছ্যাঁকা দেওয়া হয়, যাতে তার সর্দি-কাশি কমে যায়। কিন্তু ওই শিশুটি মারা যায় বলে শিশু সুরক্ষা কমিটির কাছে খবর আসে। এ ধরনের কাজ পরিবারের সদস্যরাই করে বলে জানা গেছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)