অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মহানগর ডিবি পুলিশের বরখাস্ত এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু।
সূত্র জানায়, বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করে নগরীর পিবিআই কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে দুইদিন তাকে মহানগর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এএসআই রায়হানুল ইসলামকে আদালতে নেওয়া হবে।
এর আগে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় দেওয়া ঘটনার বর্ণনায় রায়হানুলের সম্পৃক্ততার কথা জানান নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী।
এ সময় জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার আগের দিন ২৩ অক্টোবর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এএসআই রায়হানুল তার পূর্বপরিচিত এজাহারভুক্ত আসামি ভাড়াটিয়া মেঘলার বাড়িতে নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে ওই স্কুলছাত্রী রায়হানুলের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে তার মা বকাবকি করেন। এতে মেয়েটি অভিমান করে ওইদিন রাতে রায়হানুলের পরিচিত ভাড়াটিয়া বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবস্থানকালে পরের দিন অচেনা দুই পুরুষ মেয়েটিকে ভাড়াটিয়ার সহায়তায় ধর্ষণ করেন।
এদিকে গণধর্ষণের এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অপর আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে নেওয়া হয়।
সেখানে একই বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধষর্ণের কথা স্বীকার করেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়বে কি না? সিদ্ধান্ত কাল
এছাড়াও মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ভাড়াটিয়া বাড়ির দুই নারী মেঘলা ও সুরভীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
news24bd.tv তৌহিদ