ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামায়াত-শিবিরের ২১ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

চারদলীয় জোটের হরতাল চলাকালে ২০১২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ী এলাকায় পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় জেলা জামায়াতের বর্তমান ও সাবেক আমিরসহ ২১ আসামির দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১১ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ রায় দেন। এ সময় জেলা জামায়াত শিবিরের ২১ আসামির মধ্যে সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান ও সাবেক আমিরসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর চারদলীয় জোটের হরতাল চলাকালে সকাল সোয়া ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ী এলাকায় টহল পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুর চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার পর জেলা জামায়াতের তৎকালীন আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম এবং বর্তমান আমির সৈয়দ গোলাম সারোয়ারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ওই দিন রাতে পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রীসহ দুদকের জালে ৮ এমপি

পরে তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট মামলায় এজাহারনামীয় আসামিসহ মোট ২১ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ২১ আসামির প্রত্যেককে ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রায় ঘোষণাকালে মো. শহীদুল ইসলাম, সানাউল্লাহ, কাজী আবু জাহের, এমানুর রহমান, মহসিন মিয়া, ফরহাদ উদ্দিন, আজিজুল হাকিম তানভীর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি জেলা জামায়াতের সাবেক আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম এবং বর্তমান আমির সৈয়দ গোলাম সারোয়ারসহ বাকি ১৪ জন পলাতক রয়েছেন।

মামলায় রায়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান জানান, আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

news24bd.tv নাজিম