দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গৌরমতি আম চাষে বেশ সফলতা পেয়েছে এক আম চাষী। ব্যাপক ফলন ও মৌসুমের শেষে আম পাকায় এর বাজার মূল্য অনেক চড়া। ফলে কৃষকের ভাগ্য ফেরাতে এই আম বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখছে। অনেকে এই নতুন জাতের গৌরমতি আম চাষের সফলতা দেখে এই বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন। আম চাষে সার্বিক সহযোগীতা করছেন কৃষি বিভাগ।
বাগান মালিক অবসরপ্রাপ্ত ওসমান গনী নামের এক কলেজ শিক্ষক। সাড়ে তিন বছর পূর্বে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে একশত টি গৌরমতি আমের চারা দিয়ে বাগানের যাত্রা শুরু করেন। পরে সেই সব গাছ থেকে কলম করে বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রায় আড়াইশত গাছ।
এই বাগানটি করতে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হলেও এবারই পুরো বাগানের আম (অগ্রিম) বিক্রি হয়েছে ৭ লক্ষ টাকায়।
বাগান মালিক বলছেন, অন্যান্য আমের চেয়ে ব্যাপক লাভজনক আম গৌরমতি। পাশাপাশি ফলনও আসে প্রচুর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এই বাগান করতে কৃষকদের সব রকমের সহায়তা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই আম বাগান সম্প্রসারণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বীরগঞ্জ উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে গৌরমতি আমের বাগান রয়েছে।
গৌরমতি আম আগষ্ট মাসের শেষে থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। মৌসুমের শেষে হওয়ায় বাগান থেকেই প্রতি কেজি ৩শত টাকা দরে ফল ব্যবায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ