বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে পুরুষ শূণ্য জিরাফের পাল

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ছে জিরাফের পাল। আর এতে প্রজননের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে। নানা সময় পার্কে জিরাফের জন্ম হলেও বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি জিরাফের মৃত্যু হয় এখানে। আর এতেই তৈরী হয়েছে শূণ্যতা। বর্তমানে পার্কে জিরাফের সংখ্যা ৩টি যার সবগুলাই মেয়ে জিরাফ।

সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য দেশের সর্ববহৎ এই পার্ক প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে মোট ১২টি জিরাফ আনা হয়। পরে উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় এসব জিরাফ থেকে আরা ৪টি জিরাফের জন্ম হয়। এর মধ্যে যদিও ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কমন ইংল্যান্ডের সাথে মারামাতিতে আহত হয় একটি ও পরে ২০১৯ সালে জুলাই মাসে অসুস্থ্য হয়ে বেশ কয়েকটি জিরাফসহ মোট ১৩টি জিরাফের মৃত্যু হয়।

পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক (ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার) সারোয়ার হোসেন খান জানান, জিরাফ আফ্রিকান প্রাণী। আফ্রিকা থেকে এসব প্রাণী আনার পর আমাদের দেশীয় আবহাওয়ায় প্রথম সহজেই মানিয়ে নিয়েছিল তারা। নিয়মিত বাচ্চাও জন্ম হয়েছিল। এতে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু কয়েকবছর ধরে আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে এ জিরাফগুলো মারা যায়।

তিনি আরো জানান, আফ্রিকান পরিবেশ জিরাফ সহজেই বেঁচে থাকলেও আমাদের দেশীয় পরিবেশ হয়তো জিরাফের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত নয়। এদের বেঁচে থাকতে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ, খাদ্যভাস ও  আবহাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পার্কের প্রাণী চিকিৎসক জুলকার নাইন জানান, পার্ক এক সময় উপযুক্ত পরিবেশে জিরাফ বেড়ে উঠলেও একটি জিরাফ কমন ইংল্যান্ডের গুতায় মারা যায়। পরে বেশ কয়েকটি জিরাফ অসুস্থ হয়ে মারা যায়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখা গেছে কয়েকটি জিরাফ যক্ষায় আক্রান্ত ছিল। বর্তমানে যে ৩টি জিরাফ রয়েছে তাদের নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। তাদের বাঁচিয়ে রেখে যদি বংশ বিস্তার করা যায়। তবে এখন প্রধান প্রতিবন্ধকতা যে প্রজননের জন্য পুরুষ জিরাফ নেই।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে পার্কে জিরাফের পালে পুরুষ সদস্য নেই্ এতে প্রজননের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে। ইতিমধ্যেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ