পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে হত্যা মামলায় প্রথম রায় ৯ সেপ্টেম্বর

পুলিশের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলায় প্রথম রায় হতে যাচ্ছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এ রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন আদালত।  

 রাজধানীর পল্লাবীর গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনিকে (৩৩) পুলিশ হেফাজতে হত্যার ঘটনায় (নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে) এই প্রথম কোনো মামলার রায় হচ্ছে।

সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বিয়ে বাড়িতে বিবাদকে কেন্দ্র করে পুলিশের সোর্স সুমনের সঙ্গে ইশতিয়াক হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। সুমনের ফোন পেয়ে পুলিশ দুই ভাইকে ধরে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে। এর মধ্যে ইশতিয়াকের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইশতিয়াক হত্যার ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার ৫ আসামির মধ্যে ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও অপর ২ জন হলেন কথিত সোর্স। আসামিরা হলেন, পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ইসলাম ও এএসআই কামরুজ্জামান। অন্যরা হলেন, সোর্স সুমন ও রাসেল।

এদের মধ্যে এএসআই কামরুজ্জামান ও সোর্স রাসেল পলাতক। কারাগারে আছেন এসআই জাহিদুর রহমান ও সুমন। জামিনে বাইরে আছেন এএসআই রাশেদুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল আরটিভি নিউজকে বলেন, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন হওয়ার পর এই প্রথম কোনো মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করলেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে চাওয়া হয়েছে।  

রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আশা করি, আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেবেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল