জলাবদ্ধতা, যশোরের দুঃখ ভবদহ

যশোরের দুঃখ বলা হয় ভবদহকে। এই এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হলেও বাস্তবে তা সুফল দেয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্পের নামে লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রতি আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পানি উন্নয় বোর্ডের খামখেয়ালির কারণেই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হয়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরের মতো বলছেন, প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

১৯৬২ সালে ভবদহ স্লুইচ গেট নির্মাণের প্রথম দিকে যশোরের ২৭ বিলের পানি নিষ্কাষণ হতো এ স্লুইচ গেট দিয়ে। এরপর ভবদহ সংলগ্ন নদীতে পলি জমে ভরাট হতে হতে একসময় নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলে। এতে রুদ্ধ হয়ে যায় পানি নিষ্কাষনের পথ। তাই ভারি বৃষ্টি হলেই ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরাশনে ১৯৯৪ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক -এডিবির ২৫৭ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তায় যশোর-খুলনা পানি নিষ্কাশন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২৬ বছরেও সমাধান হয়নি ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভবদহের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে বর্ষা মৌসুমে লোক দেখানো কাজ করা হয়। তবে সেখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি।

তবে, বরাবরের মতো নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জনালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: তাওহীদুল ইসলাম।

ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও যশোর সদর উপজেলার ৪ শতাধিক গ্রামের ১০ লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করে। তাই  দুর্ভোগ কমাতে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান ভুক্তভোগিরা।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ