লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের নারীসহ দুই সদস্যকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় গ্রামের রতন সিকদারের ছেলে সেন্টু সিকদার (৪৫) ও যাত্রাবাড়ি গ্রামের রব মোড়লের স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর র্যাব-৮ এর কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ৮ এর সদস্যরা মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় ও যাত্রাবাড়ি গ্রামের অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেন। চক্রের লিবিয়া অংশের অন্যতম প্রধান মানব পাচারকারী মো. বশির শিকদার (৩৫) ও মো. সেলিম শেখ (৩৫)। এ দুজনের নেতৃত্বে চক্রটি লিবিয়ার বন্দীশালায় পাচারকৃত বাংলাদেশি যুবকদেরকে অর্ধাহারে-অনাহারে রেখে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে লাখ লাখ টাকা আদায় করে বাংলাদেশে অবস্থানরত দালালদের মাধ্যমে।
গ্রেপ্তার মো. সেন্টু শিকদার লিবিয়ায় অবস্থানরত মানব পাচারকারী বশির শিকদারের ভাই। সেন্টু শিকদার ও নার্গিস বেগমসহ বাংলাদেশে অবস্থানরত পাচারকারীরা ভিকটিমদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে। নার্গিসের স্বামী দালাল রব মোড়ল লিবিয়ায় হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছে। দালাল চক্রটি টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাংলাদেশিদের লিবিয়া হতে নৌকাযোগে অবৈধ পন্থায় ইতালিতে গমনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে বন্দী প্রতি উক্ত চক্রটি পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করে বলে র্যাব জানতে পারে।
গ্রেপ্তার আসামি এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ মোতাবেক মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, লিবিবায় গুলি করে দুই যুবককে হত্যা ও অপর যুবককে আহত করার ঘটনায় গত সোমবার ১ জুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় তিন মানব পাচারকারী বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের নিহত সুজন মৃধার বাবা কাবুল মৃধা। উক্ত মামলার আসামি দালাল রব মোড়লের স্ত্রী নার্গিস বেগম।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)