ইন্টারনেট বন্ধে বিশ্বে লজ্জাজনক অবস্থানে ভারত। এমন তথ্য জানিয়েছে ইন্টারনেট বিষয়ক সংস্থা অ্যাক্সেস নাও। সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় বিশ্বে শীর্ষস্থানে ছিল ভারত। গোটা বছরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা বিশ্বের তুলনায় ভারতে ৬৭ শতাংশ।
বিশ্বে মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম সোস্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, টুইটার, ভাইবার, ইনস্টাগ্রামে প্রতিনিয়ত মানুষ নিজের অভিমত ব্যক্ত করছেন। সামাজিক মাধ্যমের এই ব্যাপকতা কখনও কখনও কোনও রাষ্ট্রের সরকারকেও প্রভাবিত করছে। এই যেমন ভারতে চলতি বছর কাশ্মীর ইস্যুতে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। দেশটিতে চলমান এনআরসি ও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বেশ সরব।
কাশ্মীরে স্বায়ত্বশাসন বাতিল নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সহিংসতা এড়াতে সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলা, বিহার বা আসাম- সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই কমবেশি সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট।
রিপোর্ট দেখা যায়, ভারতে বছরজুড়ে যে পরিমাণ ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে চীন বা উত্তর কোরিয়াতেও এত বেশি বন্ধ রাখা হয়নি। বেশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত মোট ১৮০-র বেশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ জারি করা হয় ভারতে।
এছাড়ও পরীক্ষায় নকল এড়াতেও ভারতে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)