বাংলাদেশের বিপক্ষে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ড চালিয়েছেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। উদ্বোধনীতে ২৯.২ ওভারে ১৮০ রানের জুটি গড়েন তারা।
ইনিংসের শুরু থেকেই অনবদ্য ব্যাটিং করে যান রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। অবশ্য ১৮ রানেই ব্রেক থ্রু পাওয়ার কথা ছিল টাইগারদের।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে গিয়েও ক্যাচটি মুঠোয় জমাতে পারেননি তামিম। দলীয় ১৮ ও ব্যক্তিগত ৯ রানে লাইফ পান রোহিত শর্মা।
নতুন লাইফ পেয়ে আক্রমণাত্মকে হয়ে ওঠেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ক্যারিয়ারের ২৬তম এবং বিশ্বকাপের এক আসরে চতুর্থ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন রোহিত শর্মা। শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করার পর বাংলাদেশের অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। তার আগে ৯২ বলে সাতটি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০৪ রান করেন তিনি।
৩০ ওভারে ১৮১/১ রান করে ভারত। এরপর অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুলকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার গতির বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৯২ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৭৭ রান করেন রাহুল।
১৫ রানের ব্যবধানে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে টানা ফিফটি তুলে নেয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে আউট করেন মোস্তাফিজ। তার আগে ২৭ বলে ২৬ রান করেন কোহলি।
ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজের কাটারের দ্বিতীয় শিকার হার্দিক পান্ডিয়া। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৮০ রান করা ভারত এরপর ৫৭ রানে হারায় ৪ উইকেট।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৪৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৭৯ রান।
ভারত: রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রিশভ প্যান্ট, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটরক্ষক), দিনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ শামি, যুজবেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।