ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম ৩২২ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা।
টনটনে বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২২ রানের লক্ষ্য টাইগাররা পার হয়ে গেছে ৭ উইকেট ও ৫১ বল হাতে রেখে।
২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের দেওয়া ৩১৮ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে করে ৩২২ রান। যা ছিল বাংলাদেশের ওয়ানডে ও বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। এবার ক্যারিবিয়দের ৮ উইকেটে করা ৩২১ রান অনায়াসে পার হয়ে নিজেদের রেকর্ডটি ভাঙল টাইগাররা।
বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে ৮ ওভারে ৫৪ রানে ২ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানের পর সাকিব উইন্ডিজদের বিপক্ষে করেছেন অপরাজিত ১২৪ রান। তাকে যথাযথ সঙ্গ দেন লিটন দাস। তিনি করেন ৬৯ বলে ৯৪ রান।
সোমবার ইংল্যান্ডের টনটনে শাই হোপ, এভিন লুইস ও সিমরন হিতমারের ঝড়ো ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৯৯বলে ১২৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৬৯ বলে ৯৪ রান করেন লিটন কুমার দাস। ৪৮ রান করেন তামিম ইকবাল।
উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৫২ রান করেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সৌম্য।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। তার বিদায়ের পর রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব।
চতুর্থ উইকেটে তাদের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আর এই জুটিতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ হজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)