ফণীর কারণে সাড়ে ১২ লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সচিব আরও জানান, নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, স্বেচ্ছাসেবকসহ রাজনৈতিককর্মীরা উপকূলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

দেশের ১৯ জেলার ১৪৭টি উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা উপকূলীয় এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। এই ১৯ জেলায় ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে, যার বেশিরভাগই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ফণী।  

বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে মোটামুটি এর অর্ধেক শক্তি নিয়ে ফণী শুক্রবার মধ্যরাতের দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। এরপর তা রাজশাহী, রংপুরের ওপর দিয়ে দেশের উত্তরাংশ পেরিয়ে যেতে পারে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান প্রমুখ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)