বেসামরিকদের নির্যাতন জোরদার করেছে মিয়ানমার: জাতিসংঘ 

সামরিক সরকার বিরোধীদের দমন করতে হত্যা, নির্যাতন এবং ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করেছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্তিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দীর্ঘ দমনপীড়নে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ। ২০২১ সালে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। তখন থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ, যা ধীরে ধীরে সশস্ত্র বিদ্রোহের রূপ নেয়। সামরিক সরকার বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এটা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়। সামরিক শক্তি বাড়াতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণও চালু করেছে সরকার।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে নিহত হয়েছে ৫ হাজার ৩৫০ জন বেসামরিক মানুষ। শুধু গত বছর এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।  

মানবাধিকার লঙ্ঘনের গভীরতা জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মিয়ানমারবিষয়ক প্রধান জেমস রোডহেভার বলেন, মিয়ানমার মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক থেকে অতল সাগরে ডুবছে। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী আইনের অপব্যবহার করে ভিন্নমতের প্রতি দমননীতি চালাচ্ছে, যার ফলে দেশটি গভীর সংকটে পড়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ২৭ হাজার ৪০০ জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগকে সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। তাদের বাবা-মা কোথায় আছেন, তা শনাক্ত করা যায়নি।

জাতিসংঘের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১ হাজার ৮৫৩ জন, যাদের মধ্যে ৮৮ জন শিশু।  ্সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv/এসএম