এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনার একাউন্টে কোটি টাকা

নাম মর্জিনা আক্তার, পেশায় গৃহকর্মী। তবে যার তার গৃহকর্মী নন এই মর্জিনা। আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম (এস আলম) মাসুদের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তার। হয়তো, গৃহকর্তার সুবাদে মর্জিনার ব্যাংক হিসাবেও মিলেছে প্রায় তিন কোটি টাকা!

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের সম্পদের হিসাব খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেছে মর্জিনার এই বিপুল অর্থের হিসাব। দুই ব্যাংকে তাঁর নামে অর্থ আছে মোট ২ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকে ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে মোট ২২টি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) রয়েছে। সব মিলিয়ে এফডিআরের অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ১০ হাজার টাকা। আর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে রাখা আছে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫–এর একটি অনুসন্ধানী দল এস আলম পরিবারের কর ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করছে। সে তদন্ত চালাতে গিয়ে মর্জিনা আক্তারের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

নথি ঘেঁটে পাওয়া যায়, গৃহকর্মী মর্জিনার নামে চট্টগ্রামে দুটি ব্যাংকে দুটি অ্যাকাউন্ট। এর মধ্যে চলতি বছরের শুরুতে খোলা একটি অ্যাকাউন্টে ২২টি এফডিআরের তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংক পাঁচলাইশ শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে ২২টি এফডিআরের মোট টাকার পরিমাণ মোট ১ কোটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মর্জিনা আক্তারের নামে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে।

এ হিসাবে তাঁর রয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এ গৃহকর্মীর দুটি ব্যাংকে মোট ২ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। দুটি অ্যাকাউন্টে এত পরিমাণ অর্থ জমা থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক বলছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা।

এসব বিষয়ে কথা বলতে মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। একই নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলে তাঁর স্বামী সাদ্দাম হোসেন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, এস আলমের মালিকানাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্জিনা অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর নামে দুটি ব্যাংকে থাকা টাকা ইসলামী ব্যাংকের জাকাত ফান্ডের ও তাঁদের সঞ্চয় করা অর্থ।

news24bd.tv/JP