নোয়াখালী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমনসহ ১২ নেতাকর্মীকে সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল ইসলাম ২০২১ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন রশীদ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিগত সকারের দায়ের সাইবার ট্রাইব্যুনালের মামলাটির সত্যতা না থাকায় বিচারক সকল আসামিকে অব্যাহতি প্রদানের আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখার জেরে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর দুপুরে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে বিভিন্ন মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা আসামিদের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে হামলার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমনসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
নোয়াখালী জেলা যুবদল সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমন জানান, মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-ভাবে আমাকে নোয়াখালীর সাবেক চাঁদাবাজ পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম আমাকে আটক করে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দিলেও বাকি টাকা না পেয়ে ১৬৪ ধারায় পরিকল্পিত জবানবন্দি নিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আদালত আমাকে সহ সকল আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আদালতের বিচারকসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এর আগে আমাকে আটক করে নির্যাতন ও টাকা আদায়ের ঘটনায় নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সাবেক আইজিপি বেনজীরসহ ১৮ পুলিশের নামে মামলা দায়ের করেছি।
news24bd.tv/JP