পানি ছাড়ার ৬ ঘণ্টা পরই বন্ধ হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি ছাড়ার ৬ ঘণ্টা পরই আবারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে জলকপাটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

এর আগে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছার কারণে সকাল ৮টার দিকে রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এরপর ১৬টি জলকপাটের সব খুলে দেয়া হয়।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ অবস্থায় কাপ্তাই প্রধান বাঁধের নিম্নাঞ্চল ভাটিতে থাকা মানুষের ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি, পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর আশপাশের কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি।

কর্ণফুলী নদীর জোয়ার ভাটার পানি আগের মতোই বাড়ছে-কমছে জানিয়ে ব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদের পানি রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১০৮ দশমিক ৬৬ ফুট লেভেল অতিক্রম করে। আজ সকাল ৮টায় কাপ্তাই স্পিলওয়ের ১৬টি গেট দিয়ে ৬ ইঞ্চি উচ্চতা করে কাপ্তাই হ্রদের পানি ছেড়ে দেয়া হয়। তবে স্পিলওয়ে ছাড়ার ৬ ঘণ্টা পর আজ দুপুর ২টার দিকে সব কটি গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে হ্রদের পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন আপাতত আর হচ্ছে না।

এর আগে, গত শনিবার রাত ১০টায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলার কথা থাকলেও গেট খোলা হয়নি। প্রত্যাশিত পানির ফ্লো না থাকায় এবং রাতে বাঁধ খোলা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার আশঙ্কাসহ সব দিক বিবেচনা করে তা খোলা হয়নি বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।   গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা বা বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায়। এতে হ্রদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় যদি এ বাঁধের পানি ছাড়ার ব্যবস্থা করা না হতো, তবে হ্রদসংলগ্ন অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হতো।

এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনও বেড়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রে দৈনিক পাঁচটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

news24bd.tv/DHL