মরদেহ দেশে আনতে সরকারি উদ্যোগের দাবি গ্রিস প্রবাসীদের

গ্রিসে অনেক প্রবাসীর মরদেহ দেশে পাঠানোর অর্থাভাবে মর্গে পড়ে থাকে মাসের পর মাস। হাসপাতালের মর্গে রাখার খরচ দিতে হয় বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজনকেই। শুধু দেশে পাঠানোর পরিবহন খরচ দিয়ে থাকে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং এ জন্যেও বেশ দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। তবে গ্রিস প্রবাসীদের বৃহত্তর সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নামের সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকারকে গ্রীস প্রবাসীর মৃত্যু হলে মরদেহ দেশে আনার সব খরচ ও উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাহিদ ইসলাম জানান, গত ৭ বছরে গ্রিস থেকে মৃত্যুবরণকারী আড়াই শতাধিক প্রবাসীর মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখানে মারা যায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য আকুতি-মিনতি জানানো হয়। কেউ মারা গেলে তাদের পরিবার যোগাযোগ না করলেও আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করে দ্রুত মরদেহটি দেশে পাঠানোর চেষ্টা করি। তবে, আমাদের কোনো ফান্ড না থাকায় টাকা সংগ্রহ করতে কিছু সময় লাগে। কারণ এথেন্সে কেউ মারা গেলে দূতাবাস থেকে টিকিট দেওয়ার পরও বাংলাদেশের টাকা প্রায় এক লাখ থেকে দেড় লাখের মতো খরচ হয়। তবে, কোনো প্রবাসী যদি এথেন্সের বাইরে বা তুরস্ক সীমান্তে মারা যায়, তখন আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মতোও প্রয়োজন হয়। এজন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো ফান্ড দেওয়া হয়, বা সরকারিভাবে খরচ বহন করে মরদেহটি যদি দেশে নেওয়া হয়, তখন আর এতো ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

news24bd.tv/ডিডি