ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পর মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে পালিয়ে যাবার সময় সামিউল (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গত বুধবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ভুল্লি থানাধীন দেবীপুর ইউনিয়নের দারাজগাঁও গ্রামের মহেণ চন্দ্রের বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবক পার্শ্ববর্তী খলিফাপাড়া গ্রামের খলিলের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে ভুল্লি থানা-পুলিশ।
ঘটনার ব্যাপারে জয়দেব, অনিল চন্দ্র সহ অন্যান্যরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে দারাজগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মহেণ চন্দ্রের কুড়েঘড়ে আগুন দেয় কিছু দুর্বৃত্ত।
আগুন দেখতে পেয়ে মহেণের প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন চার যুবক আগুন দেবার পর মুঠোফোনে সে ভিডিও ধারন করছে। এসময় গ্রামবাসী পার্শ্ববর্তী খলিফাপাড়া গ্রামের খলিলের ছেলে সামিউলকে আটক করে এবং কালেশ্বরগাঁওয়ের মৃত একরামুলের ছেলে রবি সহ অন্য দুজন অস্ত্র দেখিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই তাদের পুলিশে দেওয়া হয়।
তারা আরও জানান, আমাদের এ গ্রামে প্রায় ১২০ ঘর হিন্দু রয়েছে। এর আগে কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। যে ছেলেগুলো এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আমরা আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন সভা সমাবেশ সহ নানা কর্মকাণ্ডে সাথে দেখেছি। তারা এ নেক্কারজনক কাজ করে ভিডিও করছিল। এ কারণেই যে, এ ভিডিও তারা ছড়িয়ে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিল আমাদের এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল উদ্দীন বলেন, রাতে স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে অবগত করেন ঘটনার বিষয়ে। পালিয়ে যাবার সময় একজনকে তারা আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সামিউলকে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
news24bd.tv/তৌহিদ