বৈষম্যবিরোধী সমাজ বিনির্মাণে কাজ করবো: আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চার বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ ১৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই চার বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।

পরে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সংবর্ধনা দেয়া হয় তাদের। তারা শপথ গ্রহণ করে বিচার বিভাগ বৈষম্যমুক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এদিন শপথ গ্রহণ শেষে বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক বলেন, আগামীতে সকল প্রকার বৈষম্যমুক্ত, অন্যায়, জুলুম, অবিচার থেকে যেন মুক্ত থাকতে পারি দেশ গড়তে সবসময় চেষ্টা করবো।

বিচারপতি এসএম এমদাদুল আরও বলেন, আমি চিন্তাও করিনি আমি আপিল বিভাগে আসবো, ন্যায় বিচারের ভারসাম্য রয়েছে কিনা সেই চিন্তা করতে হবে। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বিচারক যতক্ষণ জুলুম করবে না, ততক্ষণ আল্লাহ তোমাদের সাথে থাকবেন। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবো।

বিচারপতি রেজাউল হক বলেন, বহুপ্রাণের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্বদা চেষ্টা করবো, ন্যায় বিচারের জন্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও সত্যকে বোঝার সক্ষমতা থাকতে হয়।

শপথ নেয়ার পর বিচারপতি জিয়াউল করীম বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করছি। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের চেষ্টা থাকবে সবসময়।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান বলেন, বিচার বিভাগের অবমাননা হলে কষ্ট পায়, সমৃদ্ধ বার হলে সমৃদ্ধ বেঞ্চ হবে। সম্মানহানী হয় এমন কাজ না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গণ অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যই হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আমরা যেন জনগণের হয়ে কাজ করতে পারি। আইনঙ্গণের সবার প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।

এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে সাংবিধানিক শাসন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিচার বিভাগের প্রতি চেয়ে আছে গোটা দেশ।

সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তব্যে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা তৈরি ও আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান জানান।

news24bd.tv/FA