<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন</p>

১৫ আগস্ট রাজপথে থাকবেন ছাত্র-জনতা!

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগিদের আসামি করে মামলা করার মাধ্যমে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দাবিতে ১৫ আগস্ট রাজপথে নামবে তারা। পাশাপাশি তারা বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের সচেতন হওয়ার সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। গণমাধ্যমকে জনগণের কাতারে থেকে সংবাদ প্রচারের আহ্বানও জানান তারা।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ‘খুনি শেখ হাসিনার বিচার দাবি ও ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি বন্ধের’ দাবিতে সমাবেশ হয়।

এ সময় খুনিদের পুনর্বাসন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ উপদেষ্টাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন এবং তিন দফা দাবি জানান।

হাসনাত বলেন, উপদেষ্টাকে খুনিদের পুনর্বাসনের বক্তব্য দিতে দেখেছি। আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন। সুতরাং যখন কোনো বক্তব্য দেবেন আপনার সামনে যেন ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মাথায় থাকে, পার্লামেন্টের চিত্র মাথায় থাকে।

হাসনাত বলেন, যারা স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে চায়, যারা খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের মত বক্তব্য দিতে চায়—আমরা ছাত্র-জনতা যেভাবে তাদেরকে উপদেষ্টা বানিয়েছি একইভাবে গদি থেকে নামাতে আমরা দ্বিধা করব না।  যারা খুনিদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যাকস্টেজে ম্যাকানিজম করছেন আপনাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেব। বক্তব্য দানের সময় সচেতন করে দিতে চাই উপদেষ্টাদের। না হলে আপনাদের ছাত্রজনতা প্রতিহত করবে। খুনিদের পুনর্বাসনের কোনো ধরনের চিন্তা করবেন না।  

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘পাঁচ আগস্ট দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর পর ছয় আগস্ট থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র-জনতা তা দমন করি, এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনও একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেব না। ’

গণমাধ্যমকে সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়ে সমন্বয়ক হাসনাত বলেন, কিছু গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আমরা আপনাদের আহ্বান করি আপনারা জনগণের কাতারে নেমে আসুন।

news24bd.tv/DHL