চাইলেই কি কাউকে কাফের বলা যাবে?

বর্তমান সময়ে মানুষ একে অপরকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কাফের, মুনাফেক কিংবা অনেক খারাপ বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকে। শরিয়ত কোনো মুসলমানকে অপর অবিশ্বাসী বা কাফের, ধর্মের প্রতি কটাক্ষকারী অথবা বিভ্রান্ত ব্যক্তি, ইত্যাদি দোষারোপ করতে নিষিদ্ধ করেছে। এটি হচ্ছে সাধারণ নীতি।  

ইমাম আবু হানিফার মতে, কোনো কথায় যদি ৯৯ শতাংশই অবিশ্বাসের বোঝায় এবং মাত্র ১ শতাংশ বিশ্বাস (ঈমান) অবশিষ্ট থাকে তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না।

আর কোনো মুসলিমকে কাফের বলে অভিহিত করা কবিরা গুনাহ। এমনটি করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ কথা ও কাজে ঈমানবিধ্বংসী বক্তব্য না থাকলে তাকে তা বলা যাবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হলে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (তিরমিজি ২৬৩৭; বুখারি ৬১০৩)।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মতো অপরাধ (মিশকাত ৩৪১০)।  

অর্থাৎ দুনিয়ায় কোনো মানুষকেই নিজেদের মতের সঙ্গে মিল না থাকলে ইসলাম বিদ্বেষী বা অবিশ্বাসী কাফের, মুনাফেক ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করা যাবে না। যতক্ষণ না ওই ব্যক্তির মাঝে প্রকাশ্য কুফর প্রকাশ না হয়। বরং অবিশ্বাসী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে যাতায়াতকারী, নামাজ-রোজাসহ ইবাদত-বন্দেগি করা ব্যক্তিকে মুমিন-মুসলমান হিসেবে ভালোবাসাও ঈমানের একান্ত দাবি।  

news24bd.tv/আইএইচ