অলিম্পিকের বেশ কিছু মিশ্র ইভেন্টে নারী-পুরুষ একসাথে খেলার সুযোগ রয়েছে। টেনিস, আর্চারি, শুটিংসহ ২০টি মিশ্র ইভেন্ট আছে প্যারিস অলিম্পিকে। কিন্তু ৩২৯টি পদকের ইভেন্টে নারীর বিপক্ষে পুরুষের কোনো খেলা নেই।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে নারী বক্সারদের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন একজন ‘পুরুষ’ প্রতিযোগী! এই ইভেন্টকে তুলনা করা হচ্ছে ‘পুরুষের দ্বারা নারীকে পেটানোর ফ্রি লাইসেন্স’।
প্যারিস অলিম্পিকে বৃহস্পতিবার নারীদের বক্সিংয়ে ইতালির অ্যাঞ্জেলা চারিনির মুখোমুখি হয়েছিলেন আলজেরিয়ার ইমানে খেলিফ। খেলিফকে গত বছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং ফেডারেশন নিষিদ্ধ করেছিল। কারণ, তার দেহে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন পাওয়া গিয়েছিল। যা পুরুষের দেহে থাকে।
ইমানে খেলিফের বিরুদ্ধে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড লড়ে ম্যাচ ছেড়ে দেন অ্যাঞ্জেলা কারিনি। তার পরে জানান, ‘প্রতিপক্ষের থেকে এমন জোরে আঘাত পাননি কোনওদিন। ’
এই ঘটনার পর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রবল তোপের মুখে পড়েছেন আলজেরিয়ার বক্সার খেলিফ। সরব হয়েছেন সারা বিশ্বের অনেক তারকারাও। এবার সেই সারিতে যোগ দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত।
অভিনেত্রী বলেন, “এই মেয়েটিকে একজন ৭ ফুট লম্বা পুরুষের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ওই বিতর্কিত প্রতিযোগী জন্মসূত্রেই পুরুষ।
যার শরীরের সমস্ত অঙ্গই পুরুষের মতো। একজন পুরুষ হয়ে ওই নারী বক্সারকে তিনি রিংয়ের মধ্যে জন্তুর মতো নৃশংসভাবে মারেন। স্পষ্ট ওই নারী বক্সারকে খেলার অজুহাতেই শারীরিকভাবে নির্যাতনও করতে দেখা গিয়েছে তাকে। তবে তার দাবি সে নারীই। তাহলেই ভাবুন, অলিম্পিকে নারীদের বক্সিং ম্যাচে কে আদতে জিতেছেন?’
এই বিষয়ে সবাইকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান কঙ্গনা। তিনি বলেন, ‘কাল আপনার সন্তানের চাকরি বা পদক ছিনিয়ে নেওয়ার আগেই আজ প্রতিবাদ করুন। নারীদের খেলাকে বাঁচান। ’
শুধু তাই নয় অভিনেত্রী কাঠগড়ায় তুলেছেন অলিম্পিক কমিটিকেও। যদিও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘অ্যাথলিটদের পাসপোর্টের ভিত্তিতেই তাঁদের লিঙ্গ এবং বয়স নির্ধারণ করা হয়। ’
২০২০ টোকিও অলিম্পিকেও একই নিয়মই ছিল। প্যারিসের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম পাল্টানো হয়নি।
News24bd.tv/এসএম