পৃথিবীতে আগত সমস্ত প্রাণীদের মৃত্যুর সাধ গ্রহণ করতে হবে। অনেকে অনাগত বা ভ্রূণ অবস্থায় শিশু সন্তানের মৃত্যুর কঠিন পরীক্ষা এবং কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে অনাগত সন্তান বিয়োগের কঠিন পরীক্ষায় ধৈর্য্য ধারণ করা মুমিনের কর্তব্য। সবাই সন্তানের মৃত্যুতে খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত হতে পারে। মহানবী (সা.) নিজপুত্র ইব্রাহিমের মৃত্যুতে খুবই ভারাক্রান্ত পেয়েছিলেন। তাঁর দুচোখ অশ্রুসজল হয়েছিল। (সহিহ বুখারি : ১৩০৩)।
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-এর বর্নিত একটি সুন্দর হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! গর্ভপাত হওয়া সন্তানের মা তাতে সওয়াব আশা করলে ওই সন্তান নিজের নাভিরজ্জু তাঁকে টেনে জান্নাতে নিয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬০৯)।
অর্থাৎ, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই যারা মারা গেছে, অর্থাৎ যারা অকালমৃত, শেষ বিচারের দিন বাবা–মায়ের সুপারিশের জন্য সেসব শিশুরাও থাকবে। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, বিচার দিবসে আল্লাহ এসব শিশুদের বলবেন: তোমরা সবাই জান্নাতে প্রবেশ করো। তারা বলবে, হে আমাদের প্রভু আমাদের মা–বাবা আমাদের সঙ্গে আসবেন।
news24bd.tv/কেআই/আইএইচ