কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা ইবি শিক্ষার্থীদের

কোটা বিরোধী আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে সকল ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দলে ৯ শিক্ষার্থী।

বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ও কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া হয়।  

এতে বলা হয়, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ছিল মেধার ভিত্তিতে যুক্তিসংগত কোটা সংস্কার করা। আমাদের প্রধান দাবিটি পূরণ হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ থেকে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। শিক্ষার্থীরা মনে করে কোটা সংস্কার আন্দোলন সর্বসাধারণের আন্দোলন। এটি কোনও রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহলের আন্দোলন নয়।

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত পাঁচ দফা দাবি হলো- আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিভিন্নভাবে হেনস্তা না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, কোটা আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা ও বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং অতিদ্রুত হলসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে আবাসন নিশ্চিত করা।  

প্রতিনিধি দলের শিক্ষার্থীরা হলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক, ইংরেজি বিভাগের আব্দুর রহমান, ইশতিয়াক আহমেদ, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আল যুবাইর তামিম, অর্থনীতি বিভাগের তন্ময় কুমার সাহা, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এস বি বাধন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরাফাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জুবায়ের এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ।  

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রায়  দুই ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস বৈঠক হয়।  

news24bd.tv/কেআই