শাটডাউনের প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে সহিংসতার মধ্যেই দেশব্যাপী চলে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। আন্দোলনকালীন সময়ে প্রবাসী আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার ধাক্কা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই নেতিবাচক ধারা কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনে বেশি দামে হলেও রেমিট্যান্স সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) প্রবাসী আয়ের এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি জুলাই মাসে ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে।

এ হিসেব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪ ডলার। এটি আগের মাসের (জুন) চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিলো ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ওই মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিন প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ১৪ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই সময়ের মধ্যে এ হিসাব নেমে প্রতিদিন প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৪ কোটি ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৭ ডলারে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে সারা দেশে পুরোদমে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট ব্লাকআউটের ফলে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি। এরই প্রভাব পড়ে পুরো মাসের প্রবাসী আয়ে।

প্রবাসীরা এক ডলারের বিপরীতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে প্রণোদনা পান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রবাসী আয় কিছু কমার আশঙ্কার কারণে তুলনামূলক বেশি দামে হলে প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে প্রবাসী আয় সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে চলমান সহিংসতা ও কারফিউর কারণে মাত্র এক সপ্তাহের বেশি কিছু সময়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

news24bd.tv/SC