<p>&nbsp;&nbsp;</p>

আজও ৭ ঘণ্টা শিথিল কারফিউ

গতকালের মতো আজও কারফিউ কিছুটা শিথিল থাকছে। ফলে চালু হওয়ার কথা ছিল হয়েছে রেলযাত্রাও। সীমিত আকারে স্বল্প দূরত্বের কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর। তবে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।  

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী বলেছেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। রেল সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেল সচিব জানিয়েছেন, কারফিউ শিথিলের সময়ে যাত্রীবাহী কিছু ট্রেন বৃহস্পতিবার থেকে চালানো হবে। এ সময়ে স্বল্প দূরত্বের লোকাল-কমিউটার ট্রেন চলবে। সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

তিনি বলেন, শুরুতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইলসহ দেশের আরও বেশ কিছু রুটে ট্রেন চলবে। এরপর সরকার কারফিউ নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সে অনুযায়ী ট্রেন চালানোর বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল চালু আছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি কমিউটার ট্রেন যাতায়াত করে। তবে তা তিন-চারবার আসা-যাওয়া করতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন।

এদিকে, গতকালের মতো আজও কারফিউ শিথিলের সময়ে সারাদেশে যানচলাচলসহ দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। চলবে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার কাজ।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে সহিংসতা শুরু হয়। এ অবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায়, শুক্রবার রাতে জারি করা হয় কারফিউ। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেদিন মধ্যরাতে মাঠে নামে সেনবাহিনী। এতে রোববার থেকে সব ধরনের অফিস ও গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করে জারি করা হয় সাধারণ ছুটি।

news24bd.tv/SHS