ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১৩০ মিলি মিটার বৃষ্টি, এমন আর কতদিন?

আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৩০ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবারও বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। আর কক্সবাজারারে দেশের সর্বোচ্চ ৩০৯ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে।  

আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে জানান, সারা ঢাকাতেই আজ ভোর থেকে মৌসুমের স্বাভাবিক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। থেকে থেকে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ঝরতেই থাকবে রাজধানীজুড়ে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এটা চলতি বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক অবস্থায় রাজধানীতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি। এখন বৃষ্টির বেগ কমে এলেও পুরোপুরি থামেনি। অনেক এলাকায় এখনো বর্ষণ হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় গত ২৭ মে রাজধানীতে একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল ২২৪ মিলিমিটার। সেটি মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টি নয়, তা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবজনিত বৃষ্টি।

মুষলধারার বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ডুবে গেছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ বেশির ভাগ চাকুরে নাগরিকদের ঘর ছাড়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে জীবিকা ও অন্যান্য অনিবার্য প্রয়োজনে যাঁরা পথে নেমেছেন, তাঁরা প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন।

রাস্তাগুলো জলমগ্ন হওয়ায় অনেক এলাকায় যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। কোনো কোনো এলাকায় যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। জলমগ্নতার ফলে মহানগরজুড়ে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। নগরবাসীর পড়েছেন প্রচণ্ড দুর্ভোগে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, তোপখানা রোড, মৎস্য ভবন, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, আরামবাগ, প্রগতি সরণি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডির রাপা প্লাজা, মিরপুরের রোকেয়া সরণি, পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়, বংশাল, নিমতলীর টোয়েনবি সার্কুলার রোড বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ৩০৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া সন্দ্বীপে বৃষ্টি হয়েছে ২১৯ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১০২ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমি বায়ু এখন অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকার কারণেই এই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ এবং ভারতের আসাম হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকায় উপকূলীয় এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। দেশের ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে চলেছে।

মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা আরও অন্তত তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকবে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে অতিমাত্রার সক্রিয়তা কমে আসবে।   news24bd.tv/আইএএম