প্রশ্নফাঁসের আরেক মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ্যে

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে সাতজন আদালতে দিয়েছেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী। তাদের সেই জবানবন্দীতে বেরিয়ে এসেছে প্রশ্নফাঁসের আরেক মাস্টারমাইন্ডের নাম।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় গ্রেপ্তার সাতজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সেই জবানবন্দীর পর আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আগে চাকরি করা মো. নোমান সিদ্দিক প্রশ্নফাঁসের বড় এক মাথা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার চরআলগী গ্রামের বাসিন্দা মো. নোমান সিদ্দিক। এক সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০০৪ সালে পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে পরিচয়ের পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকরির তদবির করতেন তিনি। এসময় এক বন্ধুর মাধ্যমে তার পরিচয় হয় অর্থ বিভাগের অডিটর প্রিয়নাথ রায়ের সঙ্গে।

এরপরই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। প্রশ্নপত্র বিক্রি করে অনেক সম্পদ গড়েছেন নোমান। ঢাকার পাশে দিয়েছে একটি পোশাক কারখানা। থাকেন মিরপুর ১০ নম্বরের সেনপাড়া পর্বতার ৪৫৮/৪ নম্বর ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটের মালিক তিনি নিজেই।

জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলেছেন প্রিয়নাথ রায়ও। তিনি জানান, যখন নোমান সিদ্দিকের সঙ্গে তার পরিচয়, তখন নোমান একটি বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে দুজনকে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাইয়ে দিতে নোমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের মধ্যে একজন ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। এরপর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগে ভাইভার তদবির করেন।

তিনি আরও জানান, নোমান সিদ্দিক বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের প্রশ্নও ফাঁস করেছেন কয়েক বছর ধরে। এই নোমান প্রশ্ন ফাঁসের আরেক মাস্টারমাইন্ড।

news24bd.tv/SHS