কেন দেখবেন ‘এলএসডি ২’

বলিউড সিনেমা ‘এলএসডি ২’। গত ১৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এই সিনেমা পরিচিত মুখের মধ্যে রয়েছে স্বস্তিকা মুখার্জি। এছাড়া রয়েছে মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার উরফি জাবেদ আর বাকিরা নবাগত অভিনয়শিল্পী।

হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় পরিচালক দিবাকর ব্যানার্জি বানিয়েছেন ‘এলএসডি ২’। সিনেমাটি বক্স অফিসে সেভাবে ব্যবসা না করলেও মুক্তির পর থেকে সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিফাইভে মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি আরও বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচকেরা তো বটেই, বাংলাদেশের অনেক সাধারণ দর্শকও সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

‘এলএসডি ২’ ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া পরিচালকের তৃতীয় সিনেমা ‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা’র সিকুয়েল। তবে সিকুয়েল হলেও আগেরটির সঙ্গে এবারের কিস্তির গল্পের তেমন মিল নেই। পরিচালকের ভাষ্যে, নতুন ছবিটির আগেরটির সঙ্গে ‘আধ্যাত্মিক মিল’ রয়েছে।

‘এলএসডি’র প্রথম কিস্তিটি ছিল তিনটি ছোটগল্পের সমন্বয়। সিনেমাটিতে পুঁজিবাদ, ভোগবাদ, জাত-বৈষম্য, অনার কিলিং, এমএমএস স্ক্যান্ডাল, স্ট্রিং অপারেশনসহ নানা বিষয় তুলে এনেছিলেন দিবাকর।  

‘এলএসডি ২’–ও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রথমটির মতো এবারও তিনি তিনটি আলাদা গল্প বলেছেন। এসব গল্পে তিনি মূলত তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত মানুষের গল্প। সে জন্যই পরিচালক সিনেমার ট্যাগলাইন দিয়েছেন—লাভ ইন দ্য টাইমস অব ইন্টারনেট।

‘এলএসডি ২’-এ রয়েছে তিনটি গল্প—‘লাইক’, ‘শেয়ার’ ও ‘ডাউনলোড’। এটি এমন একটি সিনেমা, যা দেখতে দেখতে আপনার নিজেরই অস্বস্তি হবে। কারণ, আমরা প্রাত্যহিক জীবনে যা করি, সেটাই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পর্দায় দেখিয়েছেন নির্মাতা। ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ব্লগার, ভ্লগার, মিম, রিলস, ফলোয়ার, লাইক, সাবস্ক্রাইব—এখন প্রাত্যহিক জীবনে বহুল চর্চিত শব্দ। জেন–জি তো বটেই, উপমহাদেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ইন্টারনেটের আসক্তিতে ডুবে আছে। সপাট থাপ্পড়ের মতো সিনেমায় নির্মাতা তা আমাদের চোখের সামনে হাজির করেছেন।

‘এলএসডি ২’ সিনেমার আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য নানা লিঙ্গের মানুষের উপস্থিতি। সব মিলিয়ে দিবাকরের সিনেমাটি আসলে এই সময়ের আয়না, অনেক মানুষের মনের কথাও। যাঁরা এই অন্তর্জালের জালে জড়িয়ে গেছেন, আর বের হতে পারছেন না।

সিনেমাটি নির্মাণের আগে দীর্ঘ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে গবেষণা করেছেন দিবাকর। এই সিনেমায় উরফিকে নেওয়া প্রসঙ্গে এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দিবাকর বলেন, ‘উরফির দিকে তাকালেই যে কেউ বুঝতে পারবেন যে সে জানে, সে কী করছে। সে জানে তার টার্গেট অডিয়েন্স কারা। আর উরফি এটা উপভোগ করে। সিনেমা বানানোর আগে অনেক দিন তার ভিডিও দেখেছি। আমার সিনেমার বিষয়বস্তু এমন যে তাকে নিলে বিষয়টা জমে যায়; এ কারণেই উরফিকে নেওয়া হয়েছে। ’

news24bd.tv/TR