বেনজীর ইস্যুতে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর নজরদারীর আহ্বান

বেনজীর আহমেদের একাউন্ট থেকে হঠাৎ করেই টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ওপর নজরদারী বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, বেনজীর আহমেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করেই শত শত কোটি টাকা ঢুকেছে। আবার হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেলো। ১০ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হলে তার তথ্য প্রমাণ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে থাকে। কিন্তু বেনজীরের টাকা গায়েবের তথ্য ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে নেই। তাদের ওপর নজর দেয়া দরকার।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বাজেটের ঘাটতি মেটাতে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে দেশের অর্থনীতির জন্য সেটি বিপদজনক হবে।

এসময় শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৬.৫ শতাংশ করার কথা কাগজেকলমে বলা হচ্ছে কিন্তু কিন্তু কোনো কর্মকৌশল বাজেটে নেই। বাজেট প্রণয়নে পরিশ্রমী উদ্যোক্তা এবং অর্থনৈতিক কর্মীদের কথা শোনেননি অর্থমন্ত্রী।

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফ এর কাজ হলো এক সাইজের জুতা নিয়ে সবাইকে পরিয়ে দেয়া। তাদের প্রেসক্রিপশনের বাইরে গিয়ে কৃষিখাত এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত বাজেটের ভালো দিক।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাচারকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর কথাও জানান তারা।

news24bd.tv/FA