একই জালে ৫৫০০ ইলিশ,  বিক্রি সাড়ে ১৬ লাখে

দীর্ঘদিন পর ইলিশের দেখা মিলছে নোয়াখালীর হাতিয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরে মেঘনার ঘেরে। হাতিয়ার বুড়িদোনা এলাকার জেলে ইউসুফ মাঝি ২০ জন জেলেসহ নিজের ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। চার দিন পর গত শুক্রবার তাঁরা ফিরে আসেন পাঁচ হাজার ৫০০ পিস ইলিশ নিয়ে।

তবে তাঁদের জালে ধরা পড়া ইলিশগুলো আকারে ছোট, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের।

৩৫ মণ ইলিশ নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকায়। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটের সাইফুল ইসলাম মৎস্য আড়তে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।

সাইফুল ইসলাম মৎস্য আড়তের ম্যানেজার আবদুর রহমান রনি জানান, দুপুরে ট্রলারটি চেয়ারম্যানঘাটে আসে। বড় সাইজের ইলিশ ছিল কম।

নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ৩৫ মণ ইলিশের দাম উঠেছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর জেলেরা এখন নদীতে যাওয়া শুরু করেছেন। পর্যাপ্ত ইলিশ পেলে দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

ট্রলারটির মালিক ইউসুফ মাঝি বলেন, ‘মাছগুলো আকারে তেমন বড় না হলেও পরিমাণে আমরা অনেক বেশি পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ দামও পেয়েছি ভালো। ’

চেয়ারম্যান ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী জসিম ফিশ ট্রেডার্সের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন জেলেদের জালে যে ইলিশ উঠছে, তা আকারে অনেক ছোট। গত বছর আমরা যেখানে সর্বোচ্চ দুই কেজি ওজনের ইলিশ পেয়েছি, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের আকার এখন পর্যন্ত এক কেজির নিচে। তবে আকারে ছোট হলেও দাম কিন্তু সে তুলনায় অনেক বেশি। ’

হাতিয়া মৎস্য সমিতির সভাপতি ও হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসাইন জানান, হাতিয়া উপকূলের ৫০০ ফিশিং বোট বা ট্রলার সাগরে মাছ আহরণ করে। সব বোট সমানভাবে মাছ পায় না। একেকজনের ভাগ্য একেক রকম।

আখতার হোসাইন আরো জানান, চেয়ারম্যান ঘাট ছাড়াও পাশের ট্যাকিংয়ের ঘাটে অনেক জেলে মাছ উঠিয়ে নিলামে বিক্রয় করেন, তবে চেয়ারম্যান ঘাটে বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। এক সপ্তাহ ধরে নদীতে মোটামুটি মাছ ধরা পড়ছে। এখন একটু বেশি দাম হলেও যদি আরো বেশি মাছ ধরা পড়ে, তবে দাম কিছুটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।

news24bd.tv/DHL