হেলিকপ্টারে আহত ধানের শীষ প্রার্থী ঢাকায়

প্রচারণার সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়েছে। বুধবার বিকালে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হঠাৎ করে পাবনা-৪ আসন ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঈশ্বরদীতে দুর্বৃত্তের হামলায় পাবনা-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে হাইস্কুল মাঠে হাবিবের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনের প্রার্থী হাবিব ঈশ্বরদী শহরে গণসংযোগের জন্য স্কুল মাঠে জমায়েত হচ্ছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা চালালে হাবিব আহত হন। ঈশ্বরদী হাসপাতালে হাবিবকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পাবনায় পাঠানো হয়।

অন্য আহতরা হলেন আহসানুল ইসলাম রিপন, বাচ্চু, সরদার আতাউর রহমান ও বীর হোসেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সাহাপুর ও নতুনহাট এলাকায় হাবিব সমর্থকরা নৌকার ফ্লাগ লাগানো কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জিয়া মেম্বারকে হাসপাতালে দেখে হাবিবের সমর্থরা তার ওপর হামলা চালায়। পুলিশ-বিজিবি তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দাবি করে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, গণসংযোগ ও পথসভার জন্য আয়োজিত জমায়েতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু হামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে জড়িত করার অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হামলার ঘটনার জন্য তিনি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করে তিনি বলেন, হাবিবের অভিযোগে বিএনপির উপজেলা কমিটি বাতিল ও পৌর কমিটি স্থগিতের ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিক্ষুব্ধ।

ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকি জানান, প্রকৃতপক্ষে কারা হামলা চালিয়েছে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সন্দেহজনকভাবে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে বিপুলসংখ্যক, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

NEWS24▐ কামরুল