নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জামায়াত সদস্য যারা ধানের শীষে প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম আজ শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এই দাবি জানান।
এর আগে এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে, ধানের শীষে জামায়াতের ২২ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। আদালতও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। আমরাও নির্বাচন কমিশনের কাছে জামায়াত সদস্য যারা ধানের শীষে প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছি।
এইচটি ইমাম বলেন, নির্বাচনী পোস্টার সস্পর্কে বলা হয়েছে, সাইজ হবে ১৮-২০, সাদা-কালো। সেখানে কার ছবি থাকবে? দলের যিনি বর্তমান সভাপতি তার। আমাদের দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার ছবি ও প্রার্থীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ছবিও ব্যবহার করছেন না।
তিনি বলেন, বিএনপির পোস্টারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুইজনের ছবিই ব্যবহার করছে। এটিতো আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ ওখানে বলাই হয়েছে দলের বর্তমান সভাপতি। বিএনপির বর্তমান সভাপতি কে? খালেদা জিয়া তো নন। বর্তমান সভাপতি তাদের মতে তারেক রহমান। তারেক রহমানই যদি হন, তিনি তো দণ্ডিত আসামি। একজন দণ্ডিত আসামির ছবি কিভাবে ব্যবহার করে? আইনের ভাষায় তিনি পলাতক আসামি। একজন পলাতক আসামির ছবি পোস্টারে ছাপানো সম্ভব কি না এ বিষয়টি কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি।
এদিকে বৈঠকে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।
NEWS24▐ কামরুল