পাহাড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখন মাঠে 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখন মাঠে। শুরু করেছেন প্রচার-প্রচারণা। শহর এলাকাসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় চলছে মাইকিং। পোস্টারে পোস্টারে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। পাড়া, মহল্লা, বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রার্থীদের সমাবেশ। দৌড়ঝাপে পিছিয়ে নেই কোনো প্রার্থী। রাজপথ থেকে চায়ের দোকানেও ঝড় তুলেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। উৎসবমূখর হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপথ।

অন্যদিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে ভোট কেন্দ্রগুলো। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা জুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। যে কোনো নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রার্থীরা পাহাড়ের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছে।  

আওয়ামী লীগের রাঙামাটি প্রার্থী দীপংকর তালুকদার বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোনো সরকার আগ্রহ দেখায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারই পাহাড়ে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। যার কারণে পাহাড়ে ছেলে-মেয়েরা ঘরে বসে উচ্চ শিক্ষার লাভ করছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ের মানুষকে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে জয়যুক্ত করতে হবে।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের (বিএনপি) রাঙামাটি প্রার্থী মনিস্বপন দেওয়ান বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চুক্তি করেছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নে ও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই করেনি। শুধু ভোট পাওয়ার জন্য নাম মাত্র চুক্তি করেছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। তাই পাহাড়ের মানুষকে অবশ্যই ধানে শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে জয়যুক্ত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাঠে নেমেছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পারভেস তালুকদার। তিনিও এলাকার উন্নয়নের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি নিয়ে দৌড়াচ্ছে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে।

এদিকে, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রচার প্রচারণায় মাঠে থাকলে কোনো সরগম নেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমর্থীত স্বতন্ত্র প্রার্থী উষাতন তালুকদার। এখনো তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণায় নামেনি সংগঠনটি। তবে নির্বাচনে জেএসএস প্রার্থী ঊষাতনকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা।

জানা গেছে, ১০টি উপজেলা মিলে রাঙামাটি আসন নং-২৯৯। এবার নির্বাচনে ভোট কার্যক্রম চলবে প্রায় ২০৩টি ভোট কেন্দ্রে। এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালী মিলে রয়েছে ৪লাখ ১৮ হাজার ২১৮জন ভোটার। এ আসনে জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী।  

তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার(নৌকা), জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের (বিএনপির) মনি স্বপন দেওয়ান ধানের (শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী পারভেজ তালুকদার (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন (হাত পাখা) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জুঁই চাকমা (কোদাল)। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রার্থী ঊষাতন পেয়েছেন (সিংহ)।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা একেএম মামুনুর রশিদ জানান, আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে প্রচার-প্রচারণার অংশ নিতে প্রার্থীদের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। প্রচারণা নিয়ে নাশকতার যাতে না ঘটে এ ব্যাপারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুমু/তৌহিদ)