পাহাড়ে লড়াই হবে ত্রিমুখী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে রাঙামাটির রাজনৈতিক অঙ্গন। পুরোদমে পাহাড়ে বইছে নির্বাচনী হওয়া।  মাঠে নেমেছেন রাঙামাটি-২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করছে রাতদিন ঘরোয়া বৈঠক। চলছে নির্বাচনী নানা পরিকল্পনা।

এবার সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসনটি ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ১০জন সম্ভাব্য প্রার্থী। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রার্থী থাকলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অর্থাৎ বিএনপিতে রয়েছে দুইজন। আগামী ৯ডিসেম্বর জানা যাবে বিএনপির দুই প্রার্থী থেকে কে? চূড়ান্ত লড়াইয়ে থাকবেন। তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার একেএম মামুনুর রশিদ জানান, ১০টি উপজেলা নিয়ে রাঙামাটি জেলার একটি মাত্র সংসদীয় আসন-২৯৯। এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালী মিলে রয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৯জন ভোটার। তার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২লাখ ২ হাজার ৯৯ ও নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৯৭ হাজার ২৬০। এবার নির্বাচনে প্রায় ২০৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কার্যক্রম চলবে। এরই মধ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবার নির্বাচনে জেলার ৪ উপজেলার দুর্গম এলাকার ২১ কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যাবতীয় সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার কাজে এসব কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। নির্বাচনকে ঘিরে রাঙামাটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে।

এবার মনোনয়নপত্র দাখিল করে মোট ১২জন। এমধ্যে দুইজনের বাতিল হয়েছে। আর বৈধ প্রার্থীরা হলেন- দীপংকর তালুকদার (আওয়ামী লীগ)। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দীপেন দেওয়ান (বিএনপি) ও মণি স্বপন দেওয়ান (বিএনপি), অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার (জাতীয় পার্টি), মো. জসিম উদ্দিন (বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন), জুঁই চাকমা (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি) ও  পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার (স্বতন্ত্র), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ইউপিডিএফ শান্তিদেব চাকমা ও সচিব চাকমার (স্বতন্ত্র) হিসেব লড়বে। এবার নির্বাচনে সব প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কেউ কাউকে ছোট করে দেখছে না। তাই প্রার্থীদের মাঝে যেমন বেড়েছে তোড়জোড়, তেমনি ভোটারদের মাঝেও চলছে প্রার্থীদের সম্পর্কে বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনা। এবারের নির্বাচনে দল দেখে নয়- প্রার্থীদের মধ্যে যিনি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক এবং সর্বক্ষেত্রে যোগ্য তাকে দেখেই নিজেদের ভোট প্রয়োগ করবেন বলে জানান সাধারণ ভোটারা। তাই এবার আসনটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/মুুমু/তৌহিদ)