রাঙামাটি ফুরমোন ট্রেকিং এক্সপিডিশন শুরু

সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পর্ট হিসেবে রাঙামাটির ফুরমোন পাহাড়কে তুলে ধরতে ট্রেকিং এক্সপিডিশনের আয়োজন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।  

বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা একথা বলেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নজরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন প্রকাশ কান্তি চৌধূরী, রাঙামাটি সদর সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ রেদুওয়ান ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিচালক মোঃ খন্দকার মশিউর রহমান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা আরও বলেন, রাঙামাটি শহর এলকার মধ্যে কোলাহল মুক্ত এবং সৌন্দের্য্যে প্রতিক ফুরমোন পাহাড়। রাঙামাটি শহর থেকে কুতুকছড়ি যাওয়ার পথে সড়কের পাশে ফুরমোন পাহাড়টি অবস্থিত।  

এ পাহাড়ের চূড়া থেকে রাঙামাটির পুরো শহর দেখা যায়। এছাড় প্রকৃতির স্বরূপ এপাহাড়ে দৃশ্যমান। যেন মেঘের ভেলায় চরে প্রকৃতি এখানে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু মানুষের তেমন আসা যাওয়া না তাকার কারণে এ পাহাড় পর্যটকদের কাছে তেমন পরিচিত না। তাই রাঙামাটির সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পর্ট হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত করতে ফুরমোন ট্রেকিং এক্সপিডিশনের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিচালক মোঃ খন্দকার মশিউর রহমান বলেন, আগামী ৩০নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সাপছড়ি বিদ্যালয় মাঠ থেকে ফুরমোন ট্রেকিং এক্সপিডিশন কার্যক্রম শুরু হবে। এক্সপিডিশনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিজ নিজ ট্রেকিং গ্যাজেটস নিয়ে খাড়া অফ ট্রেইল রোড দিয়ে পাহাড়ের উপর উঠবে।  

এ ট্রেকিং এক্সপিডিশনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে ৭জন করে ২১জন এবং দেশের অন্যান্য জেলা থেকে দুইজন নারীসহ ১২জন সদস্যসহ সর্বমোট ৩৩জন সদস্য অংশগ্রহণ করবে। পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের সময় সেনাবাহিনীর বিশেষ দল তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে। রাঙামাটি সেনা জোনের পক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে।

NEWS24▐ কামরুল